ভিডিও

ঘোড়াঘাটে

আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভালো ফলনে আশা দেখছেন চাষিরা

প্রকাশিত: মার্চ ০৮, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আপডেট: মার্চ ০৯, ২০২৪, ১২:৩৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দেরিতে হলেও ঘোড়াঘাটে আমগাছ মুকুলে ভরে গেছে। আমের মুকুল এখন সৌরভ ছড়াচ্ছে। সুমিষ্ট ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে পরিবেশ। বসন্তের শুরু থেকেই মুকুলে শোভা পাচ্ছে গাছ। মৌমাছির দল গুন গুন করে ভিড়তে শুরু করেছে আমের মুকুলে।

মুকুলের সুবাসে আন্দোলিত হয়ে উঠছে চাষির মনও। তবে এবছর প্রথমের দিকে আশানুরূপ মুকুল ধরেনি। কিন্তু এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে বাগান কে বাগান। তারপরও মনে আশা নিয়ে আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।

ঘোড়াঘাট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ২৫৯ হেক্টর জমিতে ২৭৮টি ছোট বড় আমবাগান রয়েছে। এছাড়াও বাড়ির আশপাশ, জমির আইলসহ বিভিন্নভাবে আমগাছ রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। এসব ছোট বড় বাগানে ১০ শতক থেকে শুরু করে এক থেকে দেড় হেক্টর জমিতে অনেকের আমবাগান রয়েছে। যারা বাণিজ্যিকভাবে আমবাগান করে ব্যবসা করে আসছেন।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাগানের ৯৫ ভাগ গাছে খুব ভালো মুকুল ধরেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, বর্তমানে যে আবহাওয়া রয়েছে তাতে এ মৌসুমে এ উপজেলায় পর্যাপ্ত আমের ফলন হবে। তবে পরবর্তী আবাহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বা খড়া, ঝড় বৃষ্টির প্রভাব পরলে হয়তো কিছুটা আম বাগানের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলায় মিস্রিভোগ ৫০ ভাগ, আমরূপালী ৩৫ হেক্টর ও বারিফোর, বোম্বায়, হাড়িভাঙা, কাটিমনসহ অন্যান্য জাতের আম পর্যাপ্ত চাষ হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ উম্মে সালমা জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার মাটি ফল চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। যার ফলে এখানকার ফল চাষিরা ফল চাষ করে লাভবান হয়ে থাকেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS